
মোমেন খান, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর শিবপুরে শাহানাজ বেগম (২৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে যোশর ইউনিয়নের টংগীরটেক গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী টংগীরটেক গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী নয়ন মিয়া পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, শাহনাজ বেগম চার বছর আগে ফেনী জেলার নয়ন নামের এক ছেলের সাথে মুঠোফোনে প্রেম করে বিয়ে করে। সেই থেকে শাহনাজ বেগম বাবার বাড়িতেই থাকে। এবং স্বামী নয়ন চট্টগ্রামে বেসরকারী একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। মাঝে মধ্যে শাহনাজ বেগমের এখানে আসতো। শনিবার বিকেলে নয়ন মিয়া স্ত্রীর সাথে দেখা করতে তার শশুড় বাড়ি টংগীরটেক গ্রামে আসেন। রাতে খাওয়া দাওয়া করে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে শাহনাজের মা হজিলা বেগম নাস্তা খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করেও সারা শব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতরে গিয়ে মেয়ের মরদেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় মেয়ের জামাই নয়ন মিয়াকে ঘরে পাওয়া যায়নি। হজিলা বেগমের চিৎকারে বাড়ির ও আশেপাশের লোকজন এসে শাহনাজ বেগমকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে দুপুরে শাহনাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শাহনাজের মা হজিলা বেগম বলেন, চারবছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে শাহনাজ বেগম। চাকরির সুবাদে জামাই নয়ন মিয়া চট্টগ্রামে থাকলেও মাঝে মধ্যে আসতো এবং ভালোই চলছিলো দুজনের সংসার। তাদের মধ্যে কখনো কোনো ঝামেলা দেখিনি। কি কারনে নয়ন আমার মেয়েকে হত্যা করলো বুঝতে পারছিনা। এদিকে মেয়ের জামাই নয়নের সম্পুর্ণ ঠিকানাও আমাদের জানা নেই। আমার মেয়েই সবকিছু জানতো।
ওসি আফজাল হোসাইন বলেন, শাহনাজ বেগম নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো একসময় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে যায়। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।