1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আওয়ামী লীগের এমপিরা লুটেপুটে খেয়েছে, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেনি – আশরাফ উদ্দিন বকুল যোগ্য হয়েও ১ যুগ ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত: নরসিংদীতে শিক্ষা ক্যডারদের মানববন্ধন বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলবে বিএনপি : মঈন খান পুলিশ সুপারের নির্দেশে নরসিংদীতে বিশেষ অভিযান, আরও অর্ধ শতাধিক আসামি গ্রেপ্তার বেলাবতে ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়: খায়রুল কবির খোকন রায়পুরায় দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় আপন চাচা সহ আরও ৩ আসামী গ্রেফতার নরসিংদী-৩ শিবপুর আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সৎ ও যোগ্য প্রার্থী আবুল হারিস রিকাবদার বেলাবতে শিক্ষকের অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা শিবপুর ও রায়পুরার দুই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

ঘোড়াশাল ট্রাজেডি দিবস আজ

সাব্বির হোসেন | নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৮৫৬ বার

আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন বাকি থাকতে দেশজুড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনী। এরই মধ্যে তৎকালীন কালীগঞ্জ থানার ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামের আবুল কাসেমের বাড়িতে হানাদার বাহিনী সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডটি চালায়। আজও এলাকাবাসী বিজয়ের মাস এলে গভীর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে।

ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুল হক ও স্থানীয়রা জানান, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে আবুল কাসেমের বাড়ির দুই দিক থেকে ঘেরাও করে আক্রমণ শুরু করে পাকহানাদার এবং রাজাকার বাহিনী। এ সময় তার বাড়িসহ আশে পাশের আরো ১০/১২টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তখন আবুল কাসেম তার পরিবার নিয়ে ঘরের ভেতর একটি মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকেন। পালিয়ে থাকা ৩২ নারী- পুরুষ শিশুসহ একটি মাটির ঘরের দরজা ভেঙ্গে হানাদার বাহিনী তাদের উঠানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে দেয়। আচমকা নরপিশাচদের আগ্নেয়াস্ত্র গর্জে ওঠে। বাড়ির উঠানেই ঢলে পড়ে ১৮ নারী, পুরুষ ও শিশু।

গুরুতর আহত হন ৬ জন। এমন পরিস্থিতিতে পালিয়ে থাকা আবুল কাসেম মাটির গর্তে অজ্ঞান হয়ে যান। সেদিন শহীদ হন মোকছেদ আলী, মালাবঙ্, শাহাজাহান, রহম আলী, আ. হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শিশুপুত্রসহ আয়শা, শাহাজউদ্দিন শাহা, নেহাজউদ্দিন চুইল্লা ও নেজু প্রমুখ।

এদিকে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর মৃত্যুবরণ করেন আবুল কাশেম, যার বাড়িতে সর্বশেষ হত্যাকান্ডটি চালিয়েছিল পাক হানারদার বাহিনী। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছরে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় সরকারীভাবে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

নরসিংদীর কন্ঠস্বর / সাব্বির হোসেন 

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT