1. admin@narsingdirkanthosor.com : admin :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মনোহরদীতে নামাজ পড়তে বের হয়ে মোটরসাইকেল ধাক্কায় মাদ্রাসা সুপার নিহত ঘোড়াশাল ট্রাজেডির এই দিনে ১৮ জনকে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী আগামীর শিবপুর হবে দারিদ্র্য, মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত: জামায়াতের এমপি প্রার্থী কাওসার খালেদা জিয়া সবসময় দেশের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন : মঈন খান বেলাবতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় রায়পুরায় দোয়া ও মিলাদ নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ৩৫ জুয়েলারী ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা পলাশে গুলি ও ইয়াবাসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী মাসুদ মিয়া গ্রেপ্তার মনোহরদীতে অটো রিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার

ঘোড়াশাল ট্রাজেডি দিবস আজ

সাব্বির হোসেন | নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৮৩৪ বার

আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন বাকি থাকতে দেশজুড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনী। এরই মধ্যে তৎকালীন কালীগঞ্জ থানার ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামের আবুল কাসেমের বাড়িতে হানাদার বাহিনী সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডটি চালায়। আজও এলাকাবাসী বিজয়ের মাস এলে গভীর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে।

ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুল হক ও স্থানীয়রা জানান, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে আবুল কাসেমের বাড়ির দুই দিক থেকে ঘেরাও করে আক্রমণ শুরু করে পাকহানাদার এবং রাজাকার বাহিনী। এ সময় তার বাড়িসহ আশে পাশের আরো ১০/১২টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তখন আবুল কাসেম তার পরিবার নিয়ে ঘরের ভেতর একটি মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকেন। পালিয়ে থাকা ৩২ নারী- পুরুষ শিশুসহ একটি মাটির ঘরের দরজা ভেঙ্গে হানাদার বাহিনী তাদের উঠানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে দেয়। আচমকা নরপিশাচদের আগ্নেয়াস্ত্র গর্জে ওঠে। বাড়ির উঠানেই ঢলে পড়ে ১৮ নারী, পুরুষ ও শিশু।

গুরুতর আহত হন ৬ জন। এমন পরিস্থিতিতে পালিয়ে থাকা আবুল কাসেম মাটির গর্তে অজ্ঞান হয়ে যান। সেদিন শহীদ হন মোকছেদ আলী, মালাবঙ্, শাহাজাহান, রহম আলী, আ. হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শিশুপুত্রসহ আয়শা, শাহাজউদ্দিন শাহা, নেহাজউদ্দিন চুইল্লা ও নেজু প্রমুখ।

এদিকে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর মৃত্যুবরণ করেন আবুল কাশেম, যার বাড়িতে সর্বশেষ হত্যাকান্ডটি চালিয়েছিল পাক হানারদার বাহিনী। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছরে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় সরকারীভাবে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

নরসিংদীর কন্ঠস্বর / সাব্বির হোসেন 

আরো খবর..
© নরসিংদীর কন্ঠস্বর
Developed By Bongshai IT